নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে এই দুটি সড়কের কোথাও কোনও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় মেঘনা গোমতী সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিলে এসব সড়ক যানজটমুক্ত হয়।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম নারায়ণগঞ্জ অংশে যানজট নিরসন এবং মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে এক হাজার দুইশ’ পুলিশ এবং সাড়ে চারশ’ কমিউনিটি পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক মহাসড়কে যানজট নিরসন ও শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুর অর রশীদ।
সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সরেজমিন দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে থেকে মেঘনা টোল প্লাজা পর্যন্ত কোথাও কোনও যানজট নেই। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার থেকে কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতু পর্যন্ত ছয় লেন। ছয় লেন থেকে গাড়ি এসে আগে কাঁচপুর পুরনো সেতুতে উঠতো এক লেনে। যে কারণে কাঁচপুর সেতুর পশ্চিম পাশ থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত প্রায়ই যানজট ছড়িয়ে পড়ত। কিন্তু চার লেন বিশিষ্ট দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ায় শিমরাইল মোড়ে এবার কোনও যানজট নেই। তাই এবার ঈদে এ রোড়ে চলাচলরত ঘরমূখো যাত্রীদের জন্য এক অন্যতম অনুভুতি।
চালকরা জানান, আগে মেঘনা সেতু ও গোমতি সেতু এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হত। মহাসড়ক চারলেন ছিল অপরদিকে সেতুগুলো ছিল একলেন করে সেজন্য প্রতি নিয়ত যানজটের সৃষ্টি হত। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। মহাসড়কে অতিরিক্ত গাড়ীর চাপ থাকলেও মহাসড়ক রয়েছে থাকা। কোন যানজট নেই। যানজটমুক্ত ভাবে চলাচল করছে। প্রধানমন্ত্রী মেঘনা ও গোমতি সেতু খুলে দেওয়ার পর থেকে এ েরোডে যানজট নাই বললেই চলে।